Skip to main content
Hello everybody! সবাই কেমন আছো।

বিজ্ঞান সাজেশন এস এস সি ২০২৫

৩য় অধ্যায়  

রক্ত : রক্ত একটি ক্ষারধর্মী তরল জটিল টিস্যু। হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতির জন্য রক্ত লাল হয়। হিমগ্লোবিন অক্সি হিমোগ্লোবিন হিসেবে রক্তে অক্সিজেন পরিবহন করে।

রক্তের উপাদান : রক্তের প্রধান উপাদানগুলো হলো- রক্তরস বা প্লাজমা এবং রক্তকণিকা। রক্তের ৫৫% রক্তরস এবং বাকি ৪৫% রক্তকণিকা। রক্তকণিকাগুলো প্রধানত তিন রকমের। যথা : লোহিত রক্তকণিকা, শ্বেত রক্তকণিকা এবং অণুচক্রিকা। 

রক্তকণিকার কাজ : 

i. লোহিত কণিকার প্রধান কাজ হলো দেহের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করা।

ii. শ্বেতকণিকার প্রধান কাজ হলো ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করা।

iii. অণুচক্রিকার প্রধান কাজ হলো রক্ত তঞ্চন করতে সাহায্য করা।

রক্তের কাজ :

i. শ্বাসকার্য : রক্ত অক্সিজেনকে ফুসফুস থেকে টিস্যু কোষে এবং টিস্যু কোষ থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইডকে ফুসফুসে পরিবহন করে। লোহিত কণিকা ও রক্তরস প্রধানত এ কাজটি করে।

ii. হরমোন পরিবহন : অন্তঃক্ষরা গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত হরমোন দেহের বিভিন্ন অংশে পরিবহন করে।

iii. খাদ্যসার পরিবহন : দেহের সঞ্চয় ভাণ্ডার থেকে এবং পরিপাককৃত খাদ্যসার দেহের টিস্যু কোষগুলোতে বহন করে।

iv. বর্জ্য পরিবহন : নাইট্রোজেনঘটিত বর্জ্য পদার্থগুলোকে বৃক্কে পরিবহন করে।

v. উষ্ণতা নিয়ন্ত্রণ : দেহে তাপের বিস্তৃতি ঘটিয়ে দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

vi. রোগ প্রতিরোধ : দেহে রোগজীবাণু প্রবেশ করলে মনোসাইট ও নিউট্রোফিল শ্বেত কণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে জীবাণুকে গ্রাস করে ধ্বংস করে। লিম্ফোসাইট শ্বেত কণিকা অ্যান্টিবডি গঠন করে দেহের ভেতরের জীবাণুকে ধ্বংস করে এবং বাইরের থেকে জীবাণু দ্বারা আক্রমণ প্রতিহত করে।

রক্তের গ্রুপের বৈশিষ্ট্য : অ্যান্টিজেনের উপস্থিতির ভিত্তিতে রক্তের শ্রেণিবিন্যাসকে রক্তের গ্রুপ বলে। অ্যান্টিজেন A ও B এই দুই ধরনের হয়। যে মানুষের রক্তকোষে অ অ্যান্টিজেন থাকে তাকে গ্রুপ O, যে মানুষের রক্তকোষে B অ্যান্টিজেন থাকে তাকে গ্রুপ B, যে মানুষের রক্তে A ও B উভয় অ্যান্টিজেন থাকে তাকে AB গ্রুপ এবং যার মধ্যে A ও B অ্যান্টিজেনের কোনোটিই থাকে না, তাকে গ্রুপ O বলে আখ্যায়িত করা হয়। 

নিচে A, B, O ও AB রক্ত গ্রুপের সম্পর্ক এবং রক্তদাতা ও গ্রহীতার সম্পর্ক দেখানো হলো :

রক্তের গ্রুপ লোহিত কণিকায় অ্যান্টিজেন রক্তরসে অ্যান্টিবডি যে গ্রুপকে রক্ত দিতে পারবে যে গ্রুপের রক্ত গ্রহন করতে পারবে
A A b A,AB A,O
B B a B,AB B,O
AB A,B কোনো অ্যান্টিবডি নেই AB A,B,O,AB
O কোনো অ্যান্টিজেন নেই a,b উভয় আছে A,B,O,AB O
রক্ত গ্রহণে প্রয়োজনীয় সতর্কতা : এক ব্যক্তির দেহ থেকে রক্ত অন্য ব্যক্তির দেহে প্রদান করতে হলে উভয় ব্যক্তির রক্ত সমবিভাগের হতে হয়। সমবিভাগের না হলে ভিন্ন গ্রপের রক্ত গ্রহিতার রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে প্রাণহানির কারণ হতে পারে। মাদকসেবী, জটিল রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্ত গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে।
Rh ফ্যাক্টর  : Rh ফ্যাক্টর রেসাস  (Rhesus) নামক বানরের সাথে রক্তকণিকায় অবস্থিত এক ধরনের অ্যাগ্লুটিনোজেন। 
Rh ফ্যাক্টরের গুরুত্ব :  
সন্তানসম্ভবা মহিলাদের ক্ষেত্রে জয ফ্যাক্টর খুব গুরুত্বপূর্ণ। একজন Rh- (Rh নেগেটিভ) মহিলার সঙ্গে Rh+ (Rh পজেটিভ) পুরুষের বিয়ে হলে তাদের প্রথম সন্তান হবে Rh+, কারণ Rh+ একটি প্রকট বৈশিষ্ট্য। ভ্রুণ অবস্থায় সন্তানের জয+ ফ্যাক্টরযুক্ত লোহিত কণিকা অমরার মাধ্যমে রক্তে এসে পৌঁছাবে। ফলে মায়ের রক্ত Rh- হওয়ায় তার রক্তরসে অ্যান্টি Rh ফ্যাক্টর (অ্যান্টিবডি) উৎপন্ন হবে।
অ্যান্টি জয ফ্যাক্টর মায়ের রক্ত থেকে অমরার মাধ্যমে ভ্রুণের রক্তে প্রবেশ করে ভ্রুণের লোহিত কণিকাকে ধ্বংস করে। ফলে ভ্রুণও বিনষ্ট হয় এবং গর্ভপাত ঘটে। এ অবস্থায় শিশু জীবিত থাকলেও তার দেহে প্রচণ্ড রক্তস্বল্পতা এবং জন্মের পর জন্ডিস রোগ দেখা দেয়।
যেহেতু Rh বিরোধী অ্যান্টিবডি মাতৃদেহে খুব ধীরে ধীরে উৎপন্ন হয়, তাই প্রথম সন্তানের কোনো ক্ষতি হয় না এবং সুস্থ জন্মায়। কিন্তু পরবর্তী গর্ভাধারণ থেকে জটিলতা শুরু হয় এবং ভ্রুণ এতে মারা যায়। তাই বিয়ের আগে হবু বর-কনের রক্ত পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত এবং একই Rh ফ্যাক্টরযুক্ত (হয় Rh+ নয়তো, Rh-) দম্পতি হওয়া উচিত।
রক্ত সঞ্চালন : মানুষের রক্তসংবহনতন্ত্র হৃৎপিণ্ড, ধমনি, শিরা ও কৈশিক জালিকা নিয়ে গঠিত। মানুষের হৃৎপিণ্ড অবিরাম সংকুচিত ও প্রসারিত হয়ে ধমনি ও শিরার মাধ্যমে রক্ত সংবহন করে। হৃৎপিণ্ডের স্বতঃস্ফ‚র্ত সংকোচনকে সিস্টোল এবং স্বতঃস্ফুর্ত প্রসারণকে ডায়াস্টোল বলে। অলিন্দে যখন সিস্টোল হয় নিলয় তখন ডায়াস্টোল অবস্থায় থাকে। এভাবে হৃৎপিণ্ডের পর্যায়ক্রমে সিস্টোল ও ডায়াস্টোলের মাধ্যমে মানুষের দেহে রক্ত সঞ্চালিত হয়।
আদর্শ রক্তচাপ, হার্টবিট, হার্টরেট এবং পালসরেটের মধ্যে সম্পর্ক : হৃৎপিণ্ডের সংকোচন ও প্রসারণের ফলে হৃৎপিণ্ড থেকে রক্ত ধমনির মধ্য দিয়ে প্রবাহকালে ধমনি প্রাচীরে যে পার্শ্বচাপ সৃষ্টি হয় তাকে রক্তচাপ বলে। স্বাভাবিক রক্তচাপকে ১৪০/৯০ (mm Hg) আকারে প্রকাশ করা হয়। একটি সিস্টোল ও একটি ডায়াস্টোলের সমন্বয়ে একটি হৃদস্পন্দন হয়। সময় লাগে প্রায় ০.৮ সেকেন্ড। একজন সুস্থ মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রতি মিনিটে ৬০-১০০ বার হয়। এটিকে হার্টবিট বলে। হৃদস্পন্দন বা হার্টবিটকে যখন প্রতি মিনিটে হাতের কবজিতে গণনা করা হয়, তখন তাকে পালসরেট বলে। আমাদের হাতের কবজির রেডিয়াল ধমনিতে হার্টবিটের স্পন্দন গণনা করা যায়। আবার বুকের বাম দিকে নির্দিষ্ট স্থানে স্টেথোস্কোপের ডায়াফ্রাম বসিয়ে এবং স্টেথোস্কোপের নলের শেষ প্রান্ত দুটি কান লাগিয়েও এ শব্দ অনুভব করা যায়।
রক্তচাপজনিত শারীরিক সমস্যা সৃষ্টির কারণ ও প্রতিরোধের কৌশল : শরীর ও মনের স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তচাপ যদি বয়সের জন্য নির্ধারিত মাত্রার উপরে অবস্থান করতে থাকে, তবে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন বলে। রক্তের চাপ যদি কম থাকে তা হলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলে। হাইপারটেনশন হওয়ার প্রকৃত কারণ আজও জানা যায়নি। তবে অতিরিক্ত শারীরিক ওজন, অতিরিক্ত লবণ খাওয়া, অপর্যাপ্ত শারীরিক পরিশ্রম, ডায়াবেটিস, অস্থিরচিত্ত ও মানসিক চাপ, রক্তে কোলেস্টেরলের আধিক্য ব্যক্তিদের মধ্যে এ রোগের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এক্ষেত্রে যেসব সমস্যা দেখা দিতে পারে তার মধ্যে রয়েছে- স্ট্রোক, প্যারালাইসিস, হৃৎপিণ্ড বড় হয়ে যাওয়া, হার্ট অ্যাটাক ও ফেইলিউর, বৃক্কের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়া, দৃষ্টিশক্তির ব্যাঘাত প্রভৃতি। নিম্ন রক্তচাপ উচ্চ রক্তচাপের মতো মারাত্মক নয়। তবে রক্তচাপ যথেষ্ট কমে গেলে নানা রকম অসুবিধা সৃষ্টি হয়। রক্তচাপজনিত সমস্যা প্রতিরোধে যেসব কৌশল গ্রহণ করা যেতে পারে তা হলো- ১. ডায়াবেটিস যদি থাকে তা নিয়ন্ত্রণ করা, ২. দেহের ওজন বৃদ্ধি না করা, ৩. চর্বিযুক্ত খাদ্য বর্জন করা, ৪. মদ্যপান এবং ধূমপান থেকে বিরত থাকা, ৫. নিয়মিত ব্যায়াম করা, ৬.৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো ইত্যাদি।

জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ রক্ত তঞ্চন কাকে বলে?
উত্তর : আঘাতপ্রাপ্ত রক্তনালি থেকে নির্গত রক্ত যে প্রক্রিয়ায় অর্ধকঠিন জেলিসদৃশ্য পদার্থে রূপান্তরিত হয় তাকে রক্ত তঞ্চন বলে।
প্রশ্ন \ ২ \ মানুষের এবং ব্যাঙের লোহিত রক্তকণিকার একটি প্রধান পার্থক্য লেখ।
উত্তর : মানুষের লোহিত রক্তকণিকা নিউক্লিয়াসবিহীন কিন্তু ব্যাঙের লোহিত রক্তকণিকা নিউক্লিয়াসযুক্ত।
প্রশ্ন \ ৩ \ শুদ্ধ ও অশুদ্ধ রক্ত কাকে বলবে?
উত্তর : অক্সিজেনযুক্ত রক্তকে শুদ্ধ রক্ত এবং কার্বন ডাইঅক্সাইড ও রেচন পদার্থযুক্ত রক্তকে অশুদ্ধ রক্ত বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৪ \ কোন রক্তনালি রক্তজালকে শেষ হয়? 
উত্তর : ধমনি ক্রমশ শাখা-প্রশাখায় বিভক্ত হয়ে অবশেষে সূক্ষ্ণাতিসূক্ষ্ণ কৈশিক জালিকায় শেষ হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ কোন রক্তকণিকা অ্যামিবার মতো ক্ষণপদ সৃষ্টি করে?
উত্তর : শ্বেত কণিকা অ্যামিবার মতো ক্ষণপদ সৃষ্টি করে।
প্রশ্ন \ ৬ \ শ্বেত রক্তকণিকা কী প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করে?
উত্তর : শ্বেত রক্তকণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ধ্বংস করে।
প্রশ্ন \ ৭ \ লোহিত কণিকায় যে লাল বর্ণের পদার্থ থাকে তার নাম কী?
উত্তর : লোহিত কণিকায় লাল বর্ণের পদার্থের নাম- হিমোগ্লোবিন। 
প্রশ্ন \ ৮ \ ফুসফুসীয় ধমনির মাধ্যমে কোন প্রকার রক্ত বাহিত হয়?
উত্তর : ফুসফুসীয় ধমনির মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইডযুক্ত রক্ত বাহিত হয়।
প্রশ্ন \ ৯ \ মানুষের শ্বাসতন্ত্রের সাথে কোন তন্ত্রের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ?
উত্তর : মানুষের শ্বাসতন্ত্রের সাথে রক্তসংবহনতন্ত্রের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ ।
প্রশ্ন \ ১০ \ কৈশিক জালিকার সূক্ষ রক্তনালিগুলো কী দিয়ে গঠিত?
উত্তর : কৈশিক জালিকার সূক্ষ রক্তনালিগুলো এক স্তরবিশিষ্ট এন্ডোথেলিয়াম দিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন \ ১১ \ রক্ত জালিকা কাকে বলে? 
উত্তর : ধমনি ও শিরার সংযোগস্থলে এক স্তর বিশিষ্ট এন্ডোথেলিয়াম দিয়ে গঠিত যে সূক্ষ রক্তনালি জালকের আকারে থাকে তাকে রক্ত জালিকা বলে।
প্রশ্ন \ ১২ \ হার্টবিট কাকে বলে?
উত্তর : হৃৎপিণ্ডের একটি সিস্টোল ও একটি ডায়াস্টোলের সমন্বয়ে যে হৃদস্পন্দন হয় তাকে হার্টবিট বলা হয়।
প্রশ্ন \ ১৩ \ হার্টসাউন্ড কাকে বলে?
উত্তর : স্টেথোস্কোপের সাহায্যে হৃদস্পন্দনের যে শব্দ শোনা যায় তাকে হার্টসাউন্ড বলে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ পালস রেট কাকে বলে?
উত্তর : হৃদস্পন্দন বা হার্টবিটকে যখন প্রতি মিনিটে হাতের কবজিতে গণনা করা হয়, তখন তাকে পালস রেট বলা হয়। 
প্রশ্ন \ ১৫ \ প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের স্বাভাবিক হার্টবিট কত?
উত্তর : প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের স্বাভাবিক হার্টবিট মিনিটে ৬০-১০০ বার।
প্রশ্ন \ ১৬ \ কোন প্রকার রক্তকণিকা অ্যান্টিবডি উৎপন্ন করে?
উত্তর : লিম্ফোসাইট শ্বেতকণিকা দেহে অ্যান্টিবডি উৎপন্ন করে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ কোন শ্বেতকণিকা দেহে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে?
উত্তর : শ্বেতকণিকার লিম্ফোসাইট রক্তকণিকা দেহে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে।
প্রশ্ন \ ১৮ \ রক্তের কোন কণিকা হেপারিন ক্ষরণ করে?
উত্তর : রক্তের বেসোফিল শ্বেতকণিকা হেপারিন ক্ষরণ করে।
প্রশ্ন \ ১৯ \ রক্তের কোন কোন উপাদান রক্ত ক্ষরণ প্রতিরোধ করে?
উত্তর : রক্তের অণুচক্রিকা থেকে নির্গত থ্রম্বোপ্লাসটিন, প্রোথ্রম্বিন এবং ফাইব্রিনোজেন রক্তক্ষরণ প্রতিরোধ করে।
প্রশ্ন \ ২০ \ কোন কোন রক্তের গ্র“পকে সর্বজনীন দাতা ও সর্বজনীন গ্রহীতা বলে? 
উত্তর : ‘০’ গ্র“পের রক্তকে সর্বজনীন দাতা এবং ‘AB’ গ্র“পের রক্তকে সর্বজনীন গ্রহীতা বলে। 
প্রশ্ন\ ২১ \ একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের রক্তের মোট পরিমাণ কত?
উত্তর : একজন সুস্থ পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তির দেহে রক্তের পরিমাণ প্রায় ৫-৬ লিটার।
প্রশ্ন \ ২২ \ থ্রম্বোসাইট বা অণুচক্রিকা কাকে বলে? 
উত্তর : রক্ত তঞ্চনে সহায়ককারী ক্ষুদ্র নিউক্লিয়াসবিহীন রক্তকণিকাকে অণুচক্রিকা বা থ্রম্বোসাইট বলে। 
প্রশ্ন \ ২৩ \ পরিণত মানবদেহে রক্তে থ্রম্বোসাইট এর স্বাভাবিক সংখ্যা কত?
উত্তর : পরিণত মানবদেহের রক্তে প্রতি ঘন মিলিমিটার থ্রম্বোসাইটের সংখ্যা প্রায় ২,৫০,০০০।
প্রশ্ন \ ২৪ \ কার্ডিয়াক চক্র বলতে কী বোঝ?
উত্তর : হৃৎপিণ্ডের একটি স্পন্দনে হৃৎপিণ্ডে যেসব পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন সংঘটিত হয়, পরবর্তী স্পন্দনেও সেসব পরিবর্তনের পুনরাবৃত্তি ঘটে। এই চক্রাকার পরিবর্তনসমূহকে কার্ডিয়াক চক্র বলে।
প্রশ্ন \ ২৫ \ কার্ডিয়াক চক্রের প্রথম ঘটনাটি কী? 
উত্তর : কার্ডিয়াক চক্রের প্রথম ঘটনাটি হলো অ্যাট্রিয়াম দুটির সংকোচন (সিস্টোল)।
প্রশ্ন \ ২৬ \ রক্ত কাকে বলে?
উত্তর : রক্ত একপ্রকার অস্বচ্ছ, লবণাক্ত, ক্ষারধর্মী তরল যোজক কলা।
প্রশ্ন \ ২৭ \ শ্বেত কণিকা কয় প্রকার? 
উত্তর : শ্বেতকণিকা পাঁচ প্রকার।
প্রশ্ন \ ২৮ \ রক্তের গ্র“পগুলো কী?
উত্তর : রক্তের গ্র“পগুলো হলো - A, B, AB এবং O।
প্রশ্ন \ ২৯ \ হিমোগ্লোবিন কী?
উত্তর : হিমোগ্লোবিন একপ্রকার লৌহঘটিত  প্রোটিন জাতীয় পদার্থ, যার উপস্থিতিতে রক্তের বর্ণ লাল হয়।
প্রশ্ন \ ৩০ \ অ্যান্টিজেন কাকে বলে?
উত্তর : শরীরের রক্তে বাইরে থেকে ছোট যে প্রোটিনকণা প্রবেশের ফলে রক্তে প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা অ্যান্টিবডির সৃষ্টি হয় তাকে অ্যান্টিজেন বলে।
প্রশ্ন \ ৩১ \ অ্যান্টিবডি কাকে বলে? 
উত্তর : বাইরে থেকে প্রবিষ্ট অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য শরীরের রক্তে যে প্রোটিনকণার সৃষ্টি হয়, তাকে অ্যান্টিবডি বলে।
প্রশ্ন \ ৩২ \ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কাকে বলে? 
উত্তর : অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করে দেহে প্রবিষ্ট রোগজীবাণু বা অ্যান্টিজেন প্রতিহত করার ক্ষমতাকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বলে।
প্রশ্ন \ ৩৩ \ রক্ততঞ্চনের উদ্দেশ্য কী?
উত্তর : আঘাতপ্রাপ্ত স্থান থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করাই হলো রক্ততঞ্চনের উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন \ ৩৪ \ পলিসাইথিমিয়া কাকে বলে? 
উত্তর : রক্তে লোহিতকণিকার সংখ্যা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলে তাকে পলিসাইথিমিয়া বলে।
প্রশ্ন \ ৩৫ \ লিউকেমিয়া কাকে বলে?
উত্তর : রক্তে শ্বেতকণিকার সংখ্যা অত্যধিক বেড়ে যাওয়াকে লিউকেমিয়া বা ব্লাড ক্যান্সার বলে।
প্রশ্ন \ ৩৬ \ একজন মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ কত?
উত্তর : একজন প্রাপ্তবয়স্ক সুস্থ লোকের স্বাভাবিক রক্তচাপ- ১৪০/৯০ mmHg।
প্রশ্ন \ ৩৭ \ সংবহনতন্ত্র বলতে কী বোঝ?
উত্তর : সংবহনে অংশগ্রহণকারী অঙ্গগুলো মিলিত হয়ে যে তন্ত্র গঠন করে, তাকে সংবহনতন্ত্র বলে।
প্রশ্ন \ ৩৮ \ প্রতি মিনিটে হৃৎস্পন্দন কতবার হয়?
উত্তর : প্রতি মিনিটে একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোকের ৬০-১০০ বার হৃৎস্পন্দন ঘটে।
প্রশ্ন \ ৩৯ \ মানুষের হৃৎপিণ্ড কোথায় অবস্থিত?
উত্তর : মানুষের হৃৎপিণ্ড বক্ষগহ্বরে ফুসফুসের মাঝখানে কিছুটা বামদিকে পেরিকার্ডিয়াম পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে ।
প্রশ্ন \ ৪০ \ সিস্টোল কাকে বলে?
উত্তর : হৃৎপিণ্ডের সংকোচনকে সিস্টোল বলে।
প্রশ্ন \ ৪১ \ ডায়াস্টোল কাকে বলে?
উত্তর : হৃৎপিণ্ডের প্রসারণকে ডায়াস্টোল বলে।
 অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর 
প্রশ্ন \ ১ \ রক্তের উপাদানগুলো একটি ছকে দেখাও।
উত্তর : 
প্রশ্ন \ ২ \ শ্বেত রক্তকণিকা কীভাবে জীবাণু প্রতিহত করে?
উত্তর : দেহে রোগজীবাণু প্রবেশ করলে শ্বেতরক্ত কণিকা ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে জীবাণুকে গ্রাস করে ধ্বংস করে। লিম্ফোসাইট শ্বেতকণিকা অ্যান্টিবডি গঠন করে বাইরের জীবাণু দ্বারা আক্রমণকে প্রতিহত করে।
প্রশ্ন \ ৩ \ মানুষের হৃৎপিণ্ডের গঠন বর্ণনা কর।
উত্তর : মানুষের হৃৎপিণ্ডের প্রশস্ত প্রান্তটি ওপরের দিকে এবং ছুঁচালো প্রান্তটি নিচের দিকে বিন্যস্ত থাকে।
মানুষের হৃৎপিণ্ডটি চারটি প্রকোষ্ঠ নিয়ে গঠিত। ওপরের প্রকোষ্ঠ দুটিকে যথাক্রমে ডান ও বাম অ্যাট্রিয়াম এবং নিচের প্রকোষ্ঠ দুটিকে যথাক্রমে ডান ও বাম ভেন্ট্রিকল বলে। অ্যাট্রিয়াম দুটি আন্তঃঅ্যাট্রিয়াম পর্দা দিয়ে এবং ভেন্ট্রিকল দুটি আন্তঃভেন্ট্রিকল পর্দা দিয়ে পৃথক থাকে। অ্যাট্রিয়ামের প্রাচীর পাতলা। ভেন্ট্রিকলের প্রাচীর পুরু ও পেশিবহুল। 
প্রশ্ন \ ৪ \ লোহিত কণিকা অধিক পরিমাণ অক্সিজেন পরিবহনে সক্ষম কেন? 
উত্তর : লোহিত কণিকায় প্রচুর পরিমাণে হিমোগ্লোবিন আছে বলে তা অধিক পরিমাণ অক্সিজেন পরিবহনে সক্ষম। পরিণত লোহিত কণিকা দ্বি-অবতল ও চাকতি আকৃতির। এগুলো রক্তরসে প্রকৃতপক্ষে হিমোগ্লোবিন ভর্তি ভাসমান ব্যাগ এবং চাপ্টা আকৃতির। হিমোগ্লোবিনের কাজ হচ্ছে অক্সিজেন পরিবহন করা।
প্রশ্ন \ ৫ \ রক্তে অণুচক্রিকার সংখ্যা হ্রাস পেলে কী ঘটবে? 
উত্তর : অণুচক্রিকার সংখ্যা হ্রাস পেলে রক্ত ক্ষরণ ঘটতে পারে।
রক্ত তঞ্চনে অণুচক্রিকা বা থ্রম্বোসাইট এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ কারণে অণুচক্রিকার সংখ্যা হ্রাস পেলে কোনো রক্তবাহিকা বা টিস্যু কেটে গেলে রক্ত তঞ্চন ঘটতে বিলম্ব হবে। এতে রক্তক্ষরণ ঘটবে। এছাড়া রক্ত জালিকার প্রাচীরে ছিদ্র সৃষ্টি হলে অণুচক্রিকা মেরামতি ঘটায়। 
প্রশ্ন \ ৬ \ মানুষের লোহিত রক্তকণিকা ও শ্বেত কণিকার পার্থক্য উলে­খ কর।
উত্তর : নিচে মানুষের লোহিত কণিকা ও শ্বেত কণিকার পার্থক্য উল্লেখ করা হলো :
লোহিত কণিকা
শ্বেত কণিকা
লোহিত কণিকা দ্বি-অবতল ও চাকতি আকৃতির। শ্বেত কণিকার নির্দিষ্ট কোনো আকার নেই।
এরা নিউক্লিয়াসবিহীন। এরা নিউক্লিয়াসযুক্ত।
হিমোগ্লোবিন থাকে। হিমোগ্লোবিন থাকে না।
প্রধান কাজ-O২ ও CO২ পরিবহন করা। প্রধান কাজ দেহের জীবাণু ধ্বংস করা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা।

প্রশ্ন \ ৭ \ ফুসফুসীয় শিরা ও ফুসফুসীয় ধমনির মধ্যে কী পার্থক্য দেখা যায়?
উত্তর : ফুসফুসীয় শিরা ও ফুসফুসীয় ধমনির পার্থক্য : 

ফুসফুসীয় শিরা
ফুসফুসীয় ধমনি
ক. ফুসফুসীয় শিরা ফুসফুস থেকে নির্গত হয়ে হৃৎপিণ্ডের বাম অলিন্দে প্রবেশ করে।ক. ফুসফুসীয় ধমনি ডান নিলয় থেকে নির্গত হয়ে ফুসফুসে যায়।
খ. এর মাধ্যমে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত পরিবাহিত হয়।খ. এর মাধ্যমে কার্বন ডাইঅক্সাইডযুক্ত রক্ত পরিবাহিত হয়।
গ. হৃৎপিণ্ডের সাথে এর সংযোগস্থলে কপাটিকা থাকে না।গ. হৃৎপিণ্ডের সাথে এর সংযোগস্থলে কপাটিকা থাকে।
প্রশ্ন \ ৮ \ ‘O’ রক্ত গ্রুপের ব্যক্তির দেহে ‘A’ রক্ত গ্রুপের ব্যক্তির রক্ত দেওয়া হলে কী প্রতিক্রিয়া ঘটবে এবং কেন ঘটবে? 
উত্তর : ‘O’ রক্ত গ্রুপের ব্যক্তির দেহে A রক্তে গ্রুপের ব্যক্তির রক্ত দেওয়া হলে তা রক্তের লোহিত কণিকাকে গুচ্ছবদ্ধ করে জমাট বাঁধিয়ে দিবে।
‘O’ তা গ্র“পের রক্তে কোনো অ্যান্টিজেন থাকে না কিন্তু এর রক্তরসে anti-A ও anti-B উভয় অ্যান্টিবডি থাকে।এই দুই ধরনের অ্যান্টিবডি থাকার কারণে A, B ও AB গ্রুপের রক্ত 'O' গ্রুপধারী ব্যক্তির দেহে সঞ্চালন করলে সে ব্যক্তির রক্তকে জমাট বাঁধিয়ে দেয়। 
প্রশ্ন \ ৯ \ কী কারণে ‘O’ গ্রুপের Rh+ ব্যক্তিকে সার্বিক দাতা হিসেবে গণ্য করা হয় না? 
উত্তর : Rh ব্যক্তি একবার  Rh+ রক্ত গ্রহণ করলে তার দেহে Rh অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয়। ফলে তাকে প্রথম বার রক্ত দেওয়া গেলেও দ্বিতীয় বার আর ঐ রক্ত দেওয়া সম্ভব হয় না। কারণ গ্রহীতার রক্তরসে ক্রমশ Rh+ অ্যান্টিজেনের বিপরীত অ্যান্টিবডি উৎপন্ন হবে। গ্রহীতা দ্বিতীয় বার যদি Rh+ রক্ত গ্রহণ করে তা হলে গ্রহীতার রক্তরসের অ্যান্টি Rh ফ্যাক্টরের প্রভাবে দাতার লোহিত রক্তকণিকা জমাট বেঁধে যাবে। এ কারণে রক্ত ‘O’ গ্রুপের Rh+ ব্যক্তিকে সার্বিক দাতা হিসেবে গণ্য করা হয় না।
প্রশ্ন \ ১০ \ স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তনালির মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধে না কেন?
উত্তর : স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তনালির মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধে না কারণ-
i. রক্তে বেসোফিল শ্বেতকণিকা হেপারিন নামক এক প্রকার পদার্থ নিঃসৃত করে  যা রক্তনালির মধ্যে রক্তকে জমাট বাঁধতে দেয় না।
ii. রক্তনালির গাত্র খুবই মসৃণ, এর ফলে রক্তের অণুচক্রিকা অবিকৃত থাকে এবং অণুচক্রিকা থেকে থ্রম্বোপ্লাসটিন নির্গত হয় না।
প্রশ্ন \ ১১ \ দেহের কাটা অংশে রক্ত তঞ্চন পদ্ধতি কীভাবে ঘটে একটা রেখাচিত্রের দ্বারা দেখাও।
উত্তর : দেহের কাটা অংশে রক্ত তঞ্চন পদ্ধতি নিচের রেখাচিত্রের দ্বারা দেখানো হলো-
 
প্রশ্ন \ ১২ \ রক্ত গ্রহণের পূর্বে দাতা ও গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ বিবেচনা করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর : অ্যান্টিজেন A বহনকারী মানুষের লোহিত কণিকা অ্যান্টিবডি  b এর সংস্পর্শে এবং অ্যান্টিজেন ই যুক্ত লোহিত কণিকা অ্যান্টিবডি Bএর সংস্পর্শে জমাট বেঁধে যায়। এর ফলে দাতার রক্ত যদি A গ্রুপের  হয় তা হলে গ্রহীতার B গ্রুপের  রক্তের লোহিত কণিকাগুলো জমাট বেঁধে যাবে। এতে গ্রহীতার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। এ কারণে রক্ত গ্রহণের পূর্বে দাতা ও গ্রহীতার রক্তের শ্রেণি বিবেচনা করা অবশ্যই প্রয়োজন।
প্রশ্ন \ ১৩ \ তঞ্চন ও থ্রম্বোসিস এর মধ্যে পার্থক্য কী?
উত্তর : দেহ থেকে নির্গত রক্ত যে প্রক্রিয়ায় অর্ধকঠিন জেলির আকারে রূপান্তরিত হয় তাকে তঞ্চন বলে। অপর দিকে রক্তনালির মধ্যে রক্তের তঞ্চনকে থ্রম্বোসিস বলে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ থ্রম্বোসাইট এর কাজগুলো কী?
উত্তর : থ্রম্বোসাইট-এর কাজগুলো হলো :
i. রক্ত তঞ্চনে সাহায্য করা এদের প্রধান কাজ। রক্ত ক্ষরণের সময় অণুচক্রিকা ভেঙে গিয়ে থ্রম্বোপ্লাসটিন মুক্ত করে। এই পদার্থ প্রোথ্রম্বিনকে থ্রম্বিনে রূপান্তর করে যা পরবর্তীতে ফাইব্রিন জালক সৃষ্টি করে রক্তের তঞ্চন ঘটায়।
ii. অণুচক্রিকা রক্ত জালিকার ক্ষতিগ্রস্ত অন্তঃআবরণীর গায়ে এঁটে গিয়ে মেরামতের কাজ করে।
প্রশ্ন \ ১৫ \ হৃদধ্বনি দুটি কী কী? তাদের সৃষ্টির কারণ উলে­খ কর।
উত্তর : হৃদধ্বনি দুটি হলো-
নিলয় সিস্টোল-এর শব্দ ‘লাব’
নিলয় ডায়াস্টোল-এর শব্দ ‘ডাব’
নিলয় সংকোচনে (সিস্টোল) উভয় নিলয়ের মধ্যে রক্তচাপ বাড়তে থাকে এবং প্রতি নিলয়ের রক্তচাপ সে দিকের অলিন্দে রক্তচাপে অধিক হলে ট্রাইকাসপিড ও বাইকাসপিড কপাটিকা বন্ধ হয়ে যায়। কপাটিকাগুলো বন্ধের সময় হৃদ ধ্বনির প্রথম শব্দ ‘ডাব’ সৃষ্টি হয়।
প্রথম নিলয়ের প্রসারণে (ডায়াস্টোল) রক্তচাপ হ্রাস পাওয়ায় সহাবসান ও ফুসফুসীয় ধমনির রক্তের বিপরীতমুখী প্রবাহে সেমিলুনার কপাটিকা বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে দ্বিতীয় হৃদধ্বনি ‘ডাব’ এর সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ হিমোগ্লোবিনের প্রধান কাজ কী? 
উত্তর : রক্তের হিমোগ্লোবিন অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অক্সি-হিমোগ্লোবিন ও কার্বন ডাইঅক্সাইডের সঙ্গে যুক্ত হয়ে কার্বামিনো-হিমোগ্লোবিন গঠন করে যথাক্রমে অক্সিজেন ও কার্বন ডাইঅক্সাইড পরিবহন করে।
প্রশ্ন \ ১৭ \ রক্তকে যোজক কলা বলা হয় কেন?
উত্তর : রক্তকে যোজক কলা বলার কারণ-
i. রক্তে ধাত্রের পরিমাণ বেশি থাকে
ii. রক্ত বিভিন্ন অঙ্গের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে।
প্রশ্ন \ ১৮ \ অলিন্দ ও নিলয় দুটি করে পার্থক্য উলে­খ কর।
উত্তর : i. অলিন্দ হলো হৃৎপিণ্ডের ওপরের প্রকোষ্ঠ কিন্তু নিলয় হলো হৃৎপিণ্ডের নিচের প্রকোষ্ঠ। 
ii. অলিন্দের প্রাচীর পাতলা নিলয়ের প্রাচীর পুরু।
প্রশ্ন \ ১৯ \ লিম্ফোসাইট ও মনোসাইট-এর কাজ কী?
উত্তর : লিম্ফোসাইট অ্যান্টিবডি তৈরি করে  দেহে প্রবেশ করা রোগ জীবাণুকে ধ্বংস করে। অপরদিকে মনোসাইট ফ্যাগোসাইটোসিস পদ্ধতিতে জীবাণু ধ্বংস করে।
প্রশ্ন \ ২০ \ সর্বজনীন রক্ত দাতা ও সর্বজনীন রক্ত গ্রহীতা বলতে কী বোঝ?
উত্তর : ‘O’ গ্রপে রক্ত অন্যান্য সকল গ্রুপের মানুষকে দেওয়া যায়, তাই এই গ্র“পকে সর্বজনীন দাতা বলা হয়।
আবার ‘AB’ গ্রুপের  রক্তবহনকারী ব্যক্তি কেবল ‘AB’ গ্রুপের মানুষকেই রক্ত দান করতে পারে, কিন্তু অন্যসব গ্রুপের রক্ত গ্রহণে সক্ষম, তাই ‘AB’ গ্রুপকে সর্বজনীন গ্রহীতা বলা হয়। 
প্রশ্ন \ ২১ \ রক্তনালির মধ্যে রক্ত জমাট বাঁধে না কেন?
উত্তর : রক্তে তঞ্চনরোধক পদার্থ হেপারিন থাকায় রক্তনালিতে রক্ত জমাট বাঁধে না। 
 







Comments

Mubin said…
ইতিহাস ২য় অধ্যায় দিয়েন

Translate