ষষ্ঠ অধ্যায়
বাংলাদেশের সরকারব্যবস্থা
জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর:
প্রশ্ন \ ১ \ বাংলাদেশ কোন ধরনের রাষ্ট্র?
উত্তর : বাংলাদেশ গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র।
প্রশ্ন \ ২ \ বাংলাদেশে কোন পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা চালু রয়েছে?
উত্তর : বাংলাদেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা চালু রয়েছে।
প্রশ্ন \ ৩ \ প্রধানমন্ত্রীর কার্যকাল কত বছর?
উত্তর : প্রধানমন্ত্রীর কার্যকাল পাঁচ বছর।
প্রশ্ন \ ৪ \ কাকে সরকারের স্তম্ভ বলা হয়?
উত্তর : প্রধানমন্ত্রীকে সরকারের স্তম্ভ বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ কেন্দ্রীয় প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু কোনটি?
উত্তর : কেন্দ্রীয় প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়।
প্রশ্ন \ ৬ \ দেশের সকল প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত কোথায় গৃহীত হয়?
উত্তর : দেশের সকল প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত সচিবালয়ে গৃহীত হয়।
প্রশ্ন \ ৭ \ জেলা কোষাগারের রক্ষক ও পরিচালক কে?
উত্তর : জেলা কোষাগারের রক্ষক ও পরিচালক জেলা প্রশাসক।
প্রশ্ন \ ৮ \ বাংলাদেশে মোট কতটি উপজেলা আছে?
উত্তর : বাংলাদেশে মোট ৪৮৭টি উপজেলা আছে।
প্রশ্ন \ ৯ \ জেলার সার্বিক উন্নয়নের চাবিকাঠি কে?
উত্তর : জেলার সার্বিক উন্নয়নের চাবিকাঠি জেলা প্রশাসক।
প্রশ্ন \ ১০ \ সংসদের নেতা কে?
উত্তর : সংসদের নেতা প্রধানমন্ত্রী।
প্রশ্ন \ ১১ \ সংসদে কোরাম হয় কতজন সংসদ সদস্যে?
উত্তর : সংসদে কোরাম হয় ৬০ জন সংসদ সদস্যে।
প্রশ্ন \ ১২ \ কোন বিভাগকে সংসদ নিয়ন্ত্রণ করে?
উত্তর : শাসন বিভাগকে সংসদ নিয়ন্ত্রণ করে।
প্রশ্ন \ ১৩ \ বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার সর্বনিম্ন আদালত কোনটি?
উত্তর : বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার সর্বনিম্ন আদালত গ্রাম আদালত।
প্রশ্ন \ ১৪ \ সুপ্রিমকোর্টের বিচারকগণ কত বছর পর্যন্ত স্বীয় পদে কর্মরত থাকতে পারেন?
উত্তর : সুপ্রিমকোর্টের বিচারকগণ ৬৭ বছর পর্যন্ত স্বীয় পদে কর্মরত থাকতে পারেন।
প্রশ্ন \ ১৫ \ বাংলাদেশের আইনসভার নাম কী?
উত্তর : বাংলাদেশের আইনসভার নাম জাতীয় সংসদ।
প্রশ্ন \ ১৬ \ বাংলাদেশের আইনসভা কয় কক্ষবিশিষ্ট?
উত্তর : বাংলাদেশের আইনসভা এক কক্ষবিশিষ্ট।
প্রশ্ন \ ১৭ \ বাংলাদেশের আইনসভার সদস্য সংখ্যা কত?
উত্তর : বাংলাদেশের আইনসভার সদস্য সংখ্যা ৩৫০ জন।
প্রশ্ন \ ১৮ \ বাংলাদেশের সংসদে কয়জন স্পিকার থাকেন?
উত্তর : বাংলাদেশের সংসদে একজন স্পিকার থাকেন।
প্রশ্ন \ ১৯ \ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন কত বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়?
উত্তর : বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন পাঁচ বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয়।
প্রশ্ন \ ২০ \ রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার মধ্যমণি কে?
উত্তর : রাষ্ট্রের শাসনব্যবস্থার মধ্যমণি প্রধানমন্ত্রী।
প্রশ্ন \ ২১ \ কে রাষ্ট্রের সকল সম্মানের উৎস?
উত্তর : রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সকল সম্মানের উৎস।
প্রশ্ন \ ২২ \ রাষ্ট্রের প্রধান কে?
উত্তর : রাষ্ট্রের প্রধান রাষ্ট্রপতি।
প্রশ্ন \ ২৩ \ সামরিক বাহিনীর প্রধান কে?
উত্তর : সামরিক বাহিনীর প্রধান রাষ্ট্রপতি।
প্রশ্ন \ ২৪ \ মন্ত্রিসভার নেতা কে?
উত্তর : মন্ত্রিসভার নেতা প্রধানমন্ত্রী।
প্রশ্ন \ ২৫ \ কার তত্ত¡াবধানে খসড়া বাজেট প্রণীত হয়?
উত্তর : অর্থমন্ত্রীর তত্ত¡াবধানে খসড়া বাজেট প্রণীত হয়।
প্রশ্ন \ ২৬ \ কার নেতৃত্বে সংসদে আইন প্রণয়ন করা হয়?
উত্তর : প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সংসদে আইন প্রণয়ন করা হয়।
প্রশ্ন \ ২৭ \ সরকারের নির্বাহী বিভাগ কোনটি?
উত্তর : সরকারের নির্বাহী বিভাগ শাসন বিভাগ।
প্রশ্ন \ ২৮ \ জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহŸান করেন কে?
উত্তর : জাতীয় সংসদের অধিবেশন আহŸান করেন রাষ্ট্রপতি।
প্রশ্ন \ ২৯ \ কার সম্মতি ছাড়া আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদিত হয় না?
উত্তর : প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি ছাড়া আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদিত হয় না।
প্রশ্ন \ ৩০ \ বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর স্তর কয়টি?
উত্তর : বাংলাদেশের প্রশাসনিক কাঠামোর স্তর দুইটি।
প্রশ্ন \ ৩১ \ প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু কোনটি?
উত্তর : প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দু সচিবালয়।
প্রশ্ন \ ৩২ \ জেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কে?
উত্তর : জেলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক।
প্রশ্ন \ ৩৩ \ শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে কে?
উত্তর : শাসন বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করে জাতীয় সংসদ।
প্রশ্ন \ ৩৪ \ সুপ্রিমকোর্ট কয়টি বিভাগ নিয়ে গঠিত?
উত্তর : সুপ্রিমকোর্ট ২টি বিভাগ নিয়ে গঠিত।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর :
প্রশ্ন \ ১ \ রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগপদ্ধতির পার্থক্য লিখ।
উত্তর : নিচে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগপদ্ধতির পার্থক্য তুলে ধরা হলো :
বাংলাদেশের শাসন বিভাগের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হলেন রাষ্ট্রপতি। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান। তবে তিনি নামমাত্র প্রধান। প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শে তিনি রাষ্ট্রের সকল কাজ পরিচালনা করেন। তিনি জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের ভোটে নির্বাচিত হন। তার মেয়াদ পাঁচ বছর। অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার কেন্দ্রবিন্দু এবং সরকারের প্রধান। তাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের শাসনকার্য পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভা দেশের প্রকৃত শাসক। জাতীয় সংসদের সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের আস্থাভাজন ব্যক্তিকে রাষ্ট্রপতি সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। তার কার্যকাল পাঁচ বছর।
প্রশ্ন \ ২ \ মন্ত্রিপরিষদের গঠন আলোচনা কর।
উত্তর : সরকার পরিচালনার জন্য দেশে একটি মন্ত্রিপরিষদ আছে। প্রধানমন্ত্রী এর নেতা। তিনি প্রয়োজন অনুযায়ী মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীকে নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন। মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রীগণ সাধারণত সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে নিযুক্ত হন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য কিন্তু সংসদ সদস্য নন এমন ব্যক্তিও মন্ত্রী নিযুক্ত হতে পারেন। তবে তার সংখ্যা মন্ত্রিপরিষদের মোট সদস্য সংখ্যার এক-দশমাংশের বেশি হবে না। প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিসভার সদস্যদের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টন করেন। মন্ত্রিসভার সদস্যগণ একক ও যৌথভাবে সংসদের নিকট দায়ী থেকে দায়িত্ব পালন করেন। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে বা কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে মন্ত্রিসভাও ভেঙে যায়। প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছে করলে মন্ত্রিসভার যেকোনো মন্ত্রীকে পরিবর্তন করতে পারেন। আবার যেকোনো মন্ত্রী ইচ্ছে করলে মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে পারেন। মন্ত্রিপরিষদের মেয়াদ পাঁচ বছর।
প্রশ্ন \ ৩ \ প্রধানমন্ত্রীকে সরকারের স্তম্ভ বলা হয় কেন?
উত্তর : প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের কেন্দ্রবিন্দু এবং সরকার প্রধান। তাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের শাসনকার্য পরিচালিত হয়। প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিসভা দেশের প্রকৃত শাসক। তার নেতৃত্বে দেশে একটি মন্ত্রিসভা থাকে। তিনি মন্ত্রিসভার মূল স্তম্ভ এবং সংসদের নেতা। তাকে কেন্দ্র করে সরকার গঠিত, পরিবর্তিত ও পরিচালিত হয়। তিনিই দেশের প্রকৃত নির্বাহী ক্ষমতার অধিকারী। তাই প্রধানমন্ত্রীকে সরকারের স্তম্ভ বলা হয়।
প্রশ্ন \ ৪ \ সংসদে কীভাবে বাজেট পাস হয়?
উত্তর : জাতীয় সংসদে প্রতিবছর বাজেট পাস হয়। সংসদের অনুমতি ছাড়া কোনো বিল পাস হয় না। সংসদে বাজেট পাসের জন্য অর্থমন্ত্রী প্রথমে বাজেটের খসড়া সংসদে উপস্থাপন করেন। এরপর সংসদ সদস্যগণ দীর্ঘ বিতর্ক ও আলোচনার মাধ্যমে সংশোধনীসহ তা পাস করেন। এভাবে সংসদে বাজেট পাস হয়।
প্রশ্ন \ ৫ \ বাংলাদেশ সরকারের স্বরূপ বর্ণনা কর।
উত্তর : স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল প্রথম বাংলাদেশের সরকার গঠিত হয়। বাংলাদেশ একটি গণপ্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রে সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ। এছাড়াও বাংলাদেশ একটি এককেন্দ্রিক রাষ্ট্র। এর কোনো প্রদেশ নেই এবং আমাদের দেশে সংসদীয় পদ্ধতির সরকারব্যবস্থা চালু রয়েছে। এ ব্যবস্থায় রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি হলেও দেশের প্রকৃত শাসন ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী ও তার মন্ত্রিপরিষদের হাতে ন্যস্ত।
প্রশ্ন \ ৬ \ জেলা জজ কী কী মামলা পরিচালনা করেন?
উত্তর : জেলা আদালতের প্রধান জেলা জজ। তার কাজে সহায়তার জন্য আছেন অতিরিক্ত জেলা জজ ও সাব জজ। এই আদালত জেলা পর্যায়ে দেওয়ানি (জমিজমা সংক্রান্ত, ঋণচুক্তি ইত্যাদি) ও ফৌজদারি (সংঘাত, সংঘর্ষ সংক্রান্ত) মামলা পরিচালনা করে।
প্রশ্ন \ ৭ \ মন্ত্রিপরিষদের গঠন ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : সরকার পরিচালনার জন্য দেশে একটি মন্ত্রিপরিষদ আছে। প্রধানমন্ত্রী এর নেতা। তিনি যেরূপ সংখ্যক প্রয়োজন মনে করেন, সেরূপ সংখ্যক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ গঠন করেন।
মন্ত্রিপরিষদের মন্ত্রীগণ সাধারণত সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে নিযুক্ত হন। সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য কিন্তু সংসদ সদস্য নন এমন ব্যক্তিও মন্ত্রী নিযুক্ত হতে পারেন। তবে তার সংখ্যা মন্ত্রিপরিষদের মোট সদস্য সংখ্যার এক-দশমাংশের বেশি হবে না।
প্রশ্ন \ ৮ \ বিভাগীয় প্রশাসন সম্পর্কে কী জান?
উত্তর : বাংলাদেশে আটটি বিভাগ আছে। প্রতিটি বিভাগের প্রশাসনিক প্রধান হলেন একজন বিভাগীয় কমিশনার। কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি বিভাগের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তার কাজের জন্য কেন্দ্রের নিকট দায়ী থাকেন। বিভাগীয় কমিশনার জেলা প্রশাসকদের কাজ তদারকি করেন। বিভাগের উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন ও তত্ত¡াবধান করেন।
প্রশ্ন \ ৯ \ আপিল বিভাগের ক্ষমতা ও কাজ বর্ণনা কর।
উত্তর : বাংলাদেশের বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের একটি বিভাগ হলো আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগ হাইকোর্ট বিভাগের রায়, ডিক্রি বা দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করে শুনানির ব্যবস্থা করতে পারে। রাষ্ট্রপতি আইনের কোনো ব্যাখ্যা চাইলে আপিল বিভাগ এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিয়ে থাকে। ন্যায়বিচারের স্বার্থে কোনো ব্যক্তিকে আদালতের সামনে হাজির হতে ও দলিলপত্র পেশ করার আদেশ জারি করতে পারে। আপিল বিভাগ কর্তৃক ঘোষিত আইন হাইকোর্ট বিভাগের জন্য অবশ্যই পালনীয়। এভাবে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ আইনের ব্যাখ্যা, ন্যায়বিচার সংরক্ষণ ও পরামর্শ দান করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ‚মিকা পালন করে।
প্রশ্ন \ ১০ \ হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা ও কাজের ব্যাখ্যা দাও।
উত্তর : বাংলাদেশের বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্ট। সুপ্রিমকোর্টের একটি বিভাগ হলো হাইকোর্ট বিভাগ। হাইকোর্ট বিভাগ নাগরিকের মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে। অধস্তন কোনো আদালতের মামলায় সংবিধানের ব্যাখ্যাজনিত জটিলতা দেখা দিলে উক্ত মামলা হাইকোর্টে স্থানান্তর করে মীমাংসা করতে পারে। অধস্তন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল গ্রহণ করে। সকল অধস্তন আদালতের কার্যবিধি প্রণয়ন ও পরিচালনা করে। আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ মিলে সুপ্রিমকোর্ট সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে দেশের সংবিধান ও মৌলিক অধিকার রক্ষা করে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে।
প্রশ্ন \ ১১ \ গ্রাম আদালত বলতে কী বোঝ?
উত্তর : বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার সর্বনিম্ন আদালত হলো গ্রাম আদালত। এটি ইউনিয়ন পর্যায়ে অবস্থিত। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিবদমান দুই গ্রুপের দুজন করে মোট পাঁচজন সদস্য নিয়ে গ্রাম আদালত গঠিত। যেসব মামলা স্থানীয় পর্যায়ে বিচার করা সম্ভব, মূলত সেগুলোর বিচার এখানে করা হয়। ছোটখাটো ফৌজদারি মামলার বিচার এ আদালতে করা হয়ে থাকে।
Comments