জ্ঞানমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ নিউট্রিয়েন্টস কী?
উত্তর : খাদ্যের যেসব জৈব অথবা অজৈব উপাদান জীবের জীবনীশক্তির জোগান দেয়, তাদের একসঙ্গে পরিপোষক বা নিউট্রিয়েন্টস বলে।
প্রশ্ন \ ২ \ খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে কোনগুলো দেহ পরিপোষক?
উত্তর : খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে শর্করা, আমিষ ও স্নেহ পদার্থ বা ফ্যাট দেহ পরিপোষক।
প্রশ্ন \ ৩ \ খাদ্য উপাদানগুলোর মধ্যে কোনগুলো দেহ সংরক্ষক?
উত্তর : ভিটামিন, খনিজ লবণ ও পানি দেহ সংরক্ষক খাদ্য উপাদান।
প্রশ্ন \ ৪ \ শর্করা কী দ্বারা গঠিত?
উত্তর : শর্করা কার্বন, হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেন নিয়ে গঠিত।
প্রশ্ন \ ৫ \ প্রতি গ্রাম শর্করা জারণে কী পরিমাণ শক্তি উৎপন্ন হয়?
উত্তর : প্রতি গ্রাম শর্করা জারণে ৪.১ কিলোক্যালরি শক্তি উৎপন্ন হয়।
প্রশ্ন \ ৬ \ আমিষে কী পরিমাণ নাইট্রোজেন থাকে?
উত্তর : আমিষে ১৬% পরিমাণ নাইট্রোজেন থাকে।
প্রশ্ন \ ৭ \ মানুষের মধ্যে কয় ধরনের অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে?
উত্তর : মানুষের মধ্যে ২০ ধরনের অ্যামাইনো এসিডের সন্ধান পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন \ ৮ \ চর্বি কী?
উত্তর : চর্বি হলো সম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড।
প্রশ্ন \ ৯ \ উৎস অনুযায়ী স্নেহ পদার্থ কয় প্রকার?
উত্তর : উৎস অনুযায়ী স্নেহ পদার্থ দুই প্রকার।
প্রশ্ন \ ১০ \ ভিটামিন কোথায় সংশ্লেষিত হয়?
উত্তর : ভিটামিন D মানুষের দেহে সংশ্লেষিত হয়।
প্রশ্ন \ ১১ \ লৌহের প্রধান কাজ কী?
উত্তর : লৌহের প্রধান কাজ হিমোগ্লোবিন গঠনে সাহায্য করা।
প্রশ্ন \ ১২ \ অস্টিওম্যালেসিয়া কী?
উত্তর : অস্টিওম্যালেসিয়া বয়স্ক মহিলাদের ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত রোগ।
প্রশ্ন \ ১৩ \ থায়ামিন কী?
উত্তর : ভিটামিন B1 কে থায়ামিন বলে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ শর্করা ও প্রোটিনের ক্যালরি মান কত?
উত্তর : শর্করা ও প্রোটিনের ক্যালরি প্রায় সমান- ৪.১ kcal/gm।
প্রশ্ন \ ১৫ \ মানবদেহের কী কী অঙ্গ প্রোটিন দিয়ে তৈরি হয়?
উত্তর : দেহের অস্থি, পেশি, লোম, নখ প্রভৃতি প্রোটিন দিয়ে তৈরি হয়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ গর্ভবতীদের দৈনিক ভিটামিন A এর চাহিদা কত?
উত্তর : গর্ভবতীদের দৈনিক ভিটামিন A এর চাহিদা ২,৫০০ I.U।
প্রশ্ন \ ১৭ \ রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে কী রোগ হয়?
উত্তর : হিমোগ্বিলনের পরিমাণ কমে গেলে রক্তশূন্যতা রোগ হয়।
প্রশ্ন \ ১৮ \ একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের প্রত্যহ কত কিলোক্যালরি শক্তির প্রয়োজন হয়?
উত্তর : একজন পূর্ণবয়স্ক পুরুষের প্রত্যহ প্রায় ২৫০০-৩০০০ কিলোক্যালরি শক্তির প্রয়োজন।
প্রশ্ন \ ১৯ \ ব্যাকটেরিয়া খাদ্য নষ্ট করে কী উৎপন্ন করে?
উত্তর : ব্যাকটেরিয়া খাদ্য নষ্ট করে টক্সিন নামক এক ধরনের বিষাক্ত পদার্থ উৎপন্ন করে।
প্রশ্ন \ ২০ \ কোন রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে অণুজীবের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা যায়?
উত্তর : সালফেট লবণ যেমন Sodium bisulfite অথবা Potassium meta bisulfite ব্যবহার করে ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য অণুজীবের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা যায়।
প্রশ্ন \ ২১ \ ভিটামিন D প্রাণিদেহে কীভাবে সংশ্লেষিত হয়?
উত্তর : ভিটামিন D সূর্যালোকের অতিবেগুনি রশ্মির সহায়তায় প্রাণিদেহে সংশ্লেষিত হয়।
প্রশ্ন \ ২২ \ ক্যালরি কাকে বলে?
উত্তর : এক গ্রাম খাদ্য জারণের ফলে যে পরিমাণ তাপশক্তি উৎপন্ন হয়, তাকে খাদ্যের ক্যালরি বলে।
প্রশ্ন \ ২৩ \ কিলোক্যালরি কাকে বলে?
উত্তর : এক হাজার ক্যালরি সমান এক কিলোক্যালরি বা এক খাদ্য ক্যালরি।
প্রশ্ন \ ২৪ \ তেল কী?
উত্তর : তেল হলো অসম্পৃক্ত ফ্যাটি এসিড।
অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন \ ১ \ ল্যাকটোজ ও গ্লাইকোজেন কিসে পাওয়া যায়?
উত্তর : ল্যাকটোজ বা দুধ শর্করা গরু, ছাগল ও অন্যান্য প্রাণীর দুধে থাকে। গ্লাইকোজেন মানুষ, পশু ও পাখি জাতীয় প্রাণীর যকৃৎ ও মাংসে (পেশি) থাকে।
প্রশ্ন \ ২ \ যেসব ড্রাগে আসক্তি সৃষ্টি হয় সেগুলো কী কী?
উত্তর : উল্লেখযোগ্য ড্রাগ যেগুলোর ওপর মানুষের আসক্তি সৃষ্টি হয়, সেগুলো হচ্ছে আফিম ও আফিমজাত পদার্থ, হেরোইন, মদ, পেথিডিন, বারবিচুরেট, কোকেন, ভাং, চরস, ম্যারিজুয়ানা, এলএসডি ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ৩ \ ভিটামিন A এর উৎস কী কী?
উত্তর : প্রাণিজ উৎসের মধ্যে ডিম, গরুর দুধ, মাখন, ছানা, দই, ঘি, যকৃৎ ও বিভিন্ন তেলসমৃদ্ধ মাছে বিশেষ করে কড মাছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন A পাওয়া যায়। উদ্ভিজ্জ উৎসের মধ্যে ক্যারোটিন সমৃদ্ধ শাকসবজি, যেমন : লালশাক, কচুশাক, পুঁইশাক, কলমিশাক, ডাঁটাশাক, পুদিনা পাতা, গাজর, মিষ্টি কুমড়া, ঢেড়স, বাঁধাকপি, মটরশুঁটি এবং বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন : আম, পাকা পেঁপে, কাঁঠাল ইত্যাদিতে ভিটামিন A উল্লেখযোগ্য হারে আছে।
প্রশ্ন \ ৪ \ অধিক ভিটামিন D শরীরে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় কেন?
উত্তর : দৈনিক চাহিদা অপেক্ষা অধিক পরিমাণে ভিটামিন D গ্রহণ করলে শরীরের ক্ষতি হয়। এতে অধিক ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস শোষিত হওয়ায় রক্তে এদের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে বৃক্ক , হৃৎপিণ্ড, ধমনি ইত্যাদিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম জমা হতে থাকে।
প্রশ্ন \ ৫ \ মানবদেহে ভিটামিন E-এর কাজ কী?
উত্তর : মানবদেহে ভিটামিন E হলো এন্টিঅক্সিডেন্ট, যা ধমনিতে চর্বি জমা রোধ করে এবং সুস্থ ত্বক বজায় রাখে। এ ছাড়া ভিটামিন E কোষ গঠনে সহায়তা করে এবং বেশ কিছু শারীরবৃত্তিক বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। ভিটামিন E মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর বন্ধ্যাত্ব দূর করে। ভিটামিন E-এর অভাবে জরায়ুর মধ্যে ভ্রুনের মৃত্যুও হতে পারে।
প্রশ্ন \ ৬ \ ভিটামিন E-এর অভাবে কী হয়?
উত্তর : ভিটামিন E-এর তীব্র অভাবে স্কার্ভি (দাঁতের মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়া) রোগ হয়। এর অভাবে- (i) অস্থির গঠন শক্ত ও মজবুত হতে পারে না। (ii) ত্বকে ঘা হয়, ক্ষত শুকাতে দেরি হয়। (iii) দাঁতের মাড়ি ফুলে দাঁতের ইনামেল উঠে যায়। দাঁত দুর্বল হয়ে অকালে ঝরে পড়ে। (iv) রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে গিয়ে সহজে ঠাণ্ডা লাগে।
প্রশ্ন \ ৭ \ দেহে পানির কাজ কী কী?
উত্তর : জীবদেহে পানি দ্রাবকের কাজ করে। পানি খাদ্য উপাদানের পরিপাক ও পরিশোষণে সাহায্য করে।
পানির দ্বারা শরীর গঠনের নানা প্রয়োজনীয় উপাদান দেহের সর্বত্র পরিবাহিত হয়। বিপাকের ফলে দেহে উৎপন্ন ইউরিয়া, অ্যামোনিয়া ইত্যাদি শরীরের জন্য ক্ষতিকর বিষাক্ত পদার্থগুলোকে পানি মূত্র ও ঘাম হিসেবে দেহ থেকে নিষ্কাশন করে। এছাড়া পানি দেহ থেকে ঘাম নিঃসরণে ও বাষ্পীভবনের দ্বারা দেহের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। দেহকোষ গঠন ও কোষের যাবতীয় শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়াগুলো পানি ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
প্রশ্ন \ ৮ \ সবার জন্য প্রযোজ্য এমন সুষম খাবারে খাদ্য উপাদান কী অনুপাতে হবে?
উত্তর : ক্যালরি প্রাপ্যতার ওপর ভিত্তি করে সাধারণভাবে সবার জন্য প্রযোজ্য এমন খাবার হলো :
১. প্রোটিন জাতীয় : মোট ক্যালরির ১৫ শতাংশ,
২. শর্করা জাতীয় (বেশির ভাগই কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট হবে, চিনি জাতীয় হবে না) : মোট ক্যালরির ৫০-৬০ শতাংশ; এবং
৩. চর্বি জাতীয় : ক. সম্পৃক্ত (স্যাচুরেটেড) স্নেহ পদার্থ - মোট ক্যালরির ৭ শতাংশ। খ. অসম্পৃক্ত (আনসেচুরেটেড) স্নেহ পদার্থ - মোট ক্যালরির ২০ শতাংশ পর্যন্ত।
প্রশ্ন \ ৯ \ সুষম খাদ্য তালিকা তৈরির সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে?
উত্তর : সুষম খাদ্যতালিকা তৈরির সময় মানুষের বয়স, লিঙ্গভেদ, কী রকম কাজ করে অর্থাৎ অধিক পরিশ্রমী, মাঝারি পরিশ্রমী, স্বল্প পরিশ্রমী ইত্যাদি বিবেচনা করা দরকার। কারণ শিশু ও বৃদ্ধ, বাড়ন্ত শিশু, গর্ভবতী মহিলা এদের কোনো নির্দিষ্ট সুষম খাদ্য প্রকৃতিতে পাওয়া যায় না। সুষম খাদ্য তৈরি করে নিতে হয়।
প্রশ্ন \ ১০ \ খাদ্য তালিকায় রাফেজযুক্ত খাবার গুরুত্বপূর্ণ কেন?
উত্তর : রাফেজভুক্ত খাবারের গুরুত্ব নিম্নরূপ :
১. এটি পরিপাকে সহায়তা করে। রাফেজ পানি শোষণ করে এবং মলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে।
২. শরীর থেকে অপাচ্য খাদ্য নিষ্কাশনে সাহায্য করে।
৩. এটি শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
৪. বারবার ক্ষুধার প্রবণতা কমাতে এটি কাজ করে।
প্রশ্ন \ ১১ \ দুপুরের খাবারের গুরুত্ব কী?
উত্তর : আমাদের দেশে দুপুরের খাবারকে সাধারণত প্রধান খাদ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। দুপুরের খাবারে অবশ্যই সুষম খাদ্যতালিকার সাহায্য নিয়ে সেভাবে খাদ্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা উচিত। কারণ দুপুরের খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রশ্ন \ ১২ \ আমাদের রাতের খাবার কেমন হওয়া উচিত?
উত্তর : আমাদের রাতের খাবার সাধারণত সহজপাচ্য হওয়া উচিত।
রাতে আমিষ জাতীয় খাবার কম খাওয়া ভালো। রাতে শাক বা টক জাতীয় কোনো খাদ্য গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। ছাত্রছাত্রীদের প্রতিদিন রাতে শোয়ার আগে আর্থিক সামর্থ্য অনুসারে দুধ বা অন্য শক্তি উৎপাদক তরল খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।
প্রশ্ন \ ১৩ \ সংরক্ষণকৃত খাদ্য ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোন বিষয় খেয়াল রাখতে হবে?
উত্তর : সংরক্ষিত খাদ্য ব্যবহারের পূর্বে লক্ষ করতে হবে-যদি খাদ্যের রঙের পরিবর্তন ঘটে অথবা খাদ্য ফুলে উঠে, খাদ্যের উপর সাদা অথবা কালো আস্তরণ সৃষ্টি হয় এবং খাদ্যের ওপরটা পিচ্ছিল হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে খাদ্যে পচনক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এ ধরনের খাদ্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ খাদ্যের বিষক্রিয়ার ফলে শারীরিক ক্ষতি হবে।
প্রশ্ন \ ১৪ \ খাদ্য সংরক্ষণে লবণের ব্যবহার ব্যাখ্যা কর।
উত্তর : বিভিন্ন লবণ ব্যবহার করে খাদ্য সংরক্ষণ করা যায়। সালফেটের লবণ যেমন Sodium bisulfite অথবা Potassium meta bisulfite ব্যবহার করে ছত্রাক, ব্যাকটেরিয়া ও অন্যান্য অণুজীবের বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা যায়। Benszonic acid-এর লবণ Sodium benzoate। এটি বিশেষ করে ছত্রাক ঈষ্ট এর বৃদ্ধিকে প্রতিহত করে। ফলের রস, ফলের শাঁস ইত্যাদি সংরক্ষণের জন্য Sodium benzoate খুব উপযোগী।
এছাড়াও Propionic Acid-এর লবণ এবং Sorbic Acid-এর লবণ Sorbate Acid ব্যবহার করে দই, মিষ্টি, পনির, মাখন ও বেকারি সামগ্রী সংরক্ষণ করা হয়।
প্রশ্ন \ ১৫ \ ঈস্ট জাতীয় ছত্রাক কী কী খাদ্য নষ্ট করে?
উত্তর : ঈস্ট জাতীয় ছত্রাক ফলের রস, টমেটোর সস, জেলি, মিষ্টি আচার, শরবত ইত্যাদি খাবার দ্রুত নষ্ট করে ফেলে। এতে খাবার টক গন্ধ হয় এবং ঘোলাটে হয়ে যায়।
প্রশ্ন \ ১৬ \ মাদকাসক্তির লক্ষণ কী কী? / তুমি কী কী লক্ষণ দেখলে বুঝবে ব্যক্তিটি মাদকাসক্ত?
উত্তর : মাদকাসক্তির উল্লেখযোগ্য লক্ষণগুলো হলো :
(i) খাওয়ার প্রতি আকর্ষণ কমে যায়। (ii) সবসময় অগোছালোভাব (iii) দৃষ্টিতে অস্বচ্ছতা এবং চোখ লাল হওয়া। (iv) কোনো কিছুতে আগ্রহ নষ্ট হওয়া ও ঘুম না হওয়া (v) কর্মবিমুখতা ও হতাশা। (vi) শরীরে অত্যধিক ঘাম নিঃসরণ (vii) সবসময় নিজেকে সবার থেকে দূরে রাখা। (viii) আলস্য ও উদ্বেগ ভাব। (ix) মনঃসংযোগ নষ্ট হওয়া, টাকা-পয়সা চুরি করা ও বাড়ির জিনিসপত্র উধাও করা ইত্যাদি।
প্রশ্ন \ ১৭ \ HIV কীভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে?
উত্তর : HIV দেহের রক্তস্রোতে প্রবেশ করার পর রক্তের শ্বেত কণিকার T- লিম্ফোসাইটকে আক্রমণ করে। এতে এগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দেহের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। এর ফলে শরীরে নানা রকমের বিরল রোগের সংক্রমণ ঘটে।HIV এভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে।
প্রশ্ন \ ১৮ \ AIDS কীভাবে প্রতিরোধ করা যায়?
উত্তর : AIDS প্রতিরোধ করার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, AIDS সংক্রমণ কীভাবে ঘটে সে সম্বন্ধে সবাইকে শিক্ষা দেওয়া। অন্যকে সংক্রমিত না করার ব্যবস্থা অবলম্বন করা এবং নিজেকে AIDS সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখা। রক্তদান বা গ্রহণ, অনিয়ন্ত্রিত যৌন সম্পর্ক এবং ড্রাগ ব্যবহারকারীদের সিরিঞ্জের মাধ্যমে AIDS সংক্রমণের ঝুঁকি সম্বন্ধে অবহিত করে AIDS রোগের বিস্তার কমানো যায়। মরণব্যাধি AIDS এর সংক্রমণ কীভাবে ঘটে সে সম্বন্ধে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে এ রোগ প্রতিরোধ করা যেতে পারে।
Comments